সৌদি আরব সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গতকাল বুধবার, রিয়াদে
সৌদি আরব সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গতকাল বুধবার, রিয়াদে

পুতিন-বিন সালমান বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বারোপ

সৌদি আরব সফরে গিয়ে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার মধ্যে তিন ঘণ্টার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি, জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি, তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় ওপেক প্লাস দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেন যুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ ভূমিকার জন্য পুতিনের নামে গত মার্চে আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ জন্য তাঁকে খুব একটা বিদেশ সফরে যেতে দেখা যায় না। ওই পরোয়ানার মধ্যেই এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সফরে গেছেন পুতিন। এ জন্য মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর এই সফর বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। চারটি সুখোই-৩৫এস যুদ্ধবিমান পুতিনকে বহনকারী উড়োজাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়।

ক্রেমলিন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হয়। এর আগে রিয়াদে হাসিমুখে পুতিনকে স্বাগত জানান যুবরাজ। তাঁরা বেশ আন্তরিকভাবে করমর্দন করেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৈঠকে ওপেক প্লাস জোটের সহযোগিতার বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল রাখতে তাঁদের দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলে একমত হন তাঁরা। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দৈনিক বৈশ্বিক উত্তোলনের এক-পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ করে দেশ দুটি।

এদিকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে সৌদি আরব ও রাশিয়ার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন যুবরাজ বিন সালমান। তাঁর মতে, তাঁদের এমন ভূমিকা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে সহায়তা করবে।

এ সময় মোহাম্মদ বিন সালমানকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানান পুতিন। তিনিও হাসিমুখে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়। তাই দেশ দুটিতে এ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হবে না। এ কারণে বিদেশ সফরে এ দুটি দেশ বেছে নিয়েছেন পুতিন।