ফিলিস্তিনের গাজায় শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে একটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। বিধ্বস্ত ভবন থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন।
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আল-শুহাদা এলাকার ওই ভবনে রোববার রাতে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় আশপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থীশিবির গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর একটি। এখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এ ছাড়া গতকাল রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।
এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী–শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রগুলো এ কথা জানিয়েছে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর রোববার রাতকে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু রোববারই ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালান। এতে সেনাসহ ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন। বন্দী করা হয় সেনাসহ দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে। এর পর থেকে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান আসন্ন মনে করা হচ্ছে। স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে উত্তর গাজার অনেক বহুতল ভবন ইতিমধ্যে বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থল অভিযান শুরুর আগে হামলার তীব্রতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।