দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণের সারি
দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণের সারি

নতুন প্রেসিডেন্টের আশায় ইরান

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে শুক্রবার। নতুন প্রেসিডেন্টের আশায় রয়েছেন দেশটির জনগণ। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ছয়টায়। কিন্তু পরে দুই ঘণ্টা সময় আরও বাড়ানো হয়। দেশটিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটের সময় বাড়ানোর প্রচলন রয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হলে প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আজ মধ্যরাত বা আগামীকাল শনিবারের আগে কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, তা চূড়ান্ত হবে না। দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রার্থী হিসেবে রয়েছে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও রক্ষণশীল প্রার্থী সাইদ জালিলি। এর আগে গত সপ্তাহে প্রথম দফার ভোটে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন পেজেশকিয়ান। কিন্তু কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।

প্রথম দফায় ভোট পড়ার হার ছিল মাত্র ৪০। দ্বিতীয় দফাতেও ভোট পড়ার হার বেশি দেখা যায়নি। গত মে মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় সেখানে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটির নীতিনির্ধারণে প্রেসিডেন্টের ভূমিকা কম। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।  

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ বাহিদির বরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় আজ ৫৮ হাজার ৬৩৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই ভোট দিয়েছেন।

প্রথম দফার নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ও জালিলি ছাড়া আরও দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁরা হলেন কট্টরপন্থী পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ এবং কট্টরপন্থী মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। গালিবাফ ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। আর পুরমোহাম্মদি পেয়েছিলেন ১ শতাংশের কম ভোট।

দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্‌রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

অপর দিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন।