কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বলেছেন, আলোচনার পথ খোলা রাখাই গাজা সংকটের একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে শিগগিরই সুখবর আসতে পারে। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও আছেন। সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে কাতার মধ্যস্থতা করছে। তুরস্ক ও অন্য আঞ্চলিক সহযোগীরা মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই দেশটিকে সহায়তা করছে।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কাতারের কূটনৈতিক তৎপরতার প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাসি হানেগবি। চলমান এই যুদ্ধে মানবিক তৎপরতার ক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জাসি হানেগবি লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত সন্তুষ্টির সঙ্গে বলছি যে মানবিক সংকট নিরসনের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে কাতার একটি অপরিহার্য পক্ষ ও অংশীদার হয়ে উঠছে।’
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এ সময় তারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
জিম্মি নারী-শিশুদের দ্রুত মুক্তি দিতে হামাসকে অনুরোধ করেছে কাতার। কাতারের কর্মকর্তারা কোনো শর্ত ছাড়াই এই সব নারী-শিশুকে ছেড়ে দিতে বলেছে। হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধার করতে ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন অবস্থায় হামাসকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে অন্তত তিনজন কূটনীতিক জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার মার্কিন নাগরিক দু্ই নারীকে মুক্তি দেওয়ার পর সোমবার রাতে দুজন ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। আরও বেশিসংখ্যক বেসামরিক ইসরায়েলিকে মুক্তি দিতে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার। গতকাল মঙ্গলবার কূটনৈতিক একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি সেনাদের মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে সূত্রটি জানিয়েছে। হামাস বলেছে, জিম্মি ইসরায়েলি সেনারা তাদের কৌশলগত সম্পদ।