ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পর ওয়াশিংটনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিবৃতি জারি করেন তিনি
ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পর ওয়াশিংটনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিবৃতি জারি করেন তিনি

ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে কী বললেন বাইডেন

ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রায় সব ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনী ওই অঞ্চলে রয়েছে। মিত্রদের সুরক্ষার জন্য ওয়াশিংটনের দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান বাইডেন।

বাইডেন আরও বলেন, ইসরায়েলে গতকাল মার্কিন বাহিনী বা মার্কিন বাহিনীর স্থাপনাগুলোতে কোনো হামলা না হলেও ‘আমরা সব ধরনের হুমকির বিষয়ে সতর্ক থাকব।’

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও ইরানের এই বাহিনী উল্লেখ করেছে।

ইরানের একটি সূত্র দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনাকে বলেছে, তেহরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথম দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলের একেবারে ভেতরের লক্ষ্যবস্তু নিশানা করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের এ হামলার পর লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলও সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাতজন সদস্য রয়েছেন।