সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে আজ রোববার হামলা হয়েছে। বিদ্রোহীদের হাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে হামলার আগেই কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল–অ্যারাবিয়া থেকে নেওয়া ভিডিও (ফুটেজ) সম্প্রচার করে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন নেটওয়ার্কে প্রচারিত ছবিতে আপনারা সেটি দেখেছেন।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাইকে উদ্ধৃত করে তেহরান টাইমসের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলা চালানোর আগে কূটনীতিকেরা দূতাবাস ত্যাগ করেন। তাঁরা নিরাপদে ছিলেন।
এএফপির একজন ফটোগ্রাফার ঘটনাস্থল থেকে জানান, অভিজাত মাজেহ এলাকায় ইরান দূতাবাস ভবনের মেঝেতে ভাঙা কাচ ও আসবাবপত্র পড়ে আছে। লোকজন সেখানকার জিনিসপত্র লুট করে ট্রাকে জড়ো করছিল। বিভিন্ন কক্ষের ফাইল ক্যাবিনেট ও ড্রয়ারগুলো খোলা পড়ে ছিল। চারপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে ছিল কাগজপত্র, ফাইলসহ নানা জিনিস। আরেকটি কক্ষে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এবং বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ছবির পোস্টার ভাঙা অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। এমনকি লেবাননের হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নসরুল্লাহর বাঁধানো ছবিও ভাঙা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল।
তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে দূতাবাসে হামলার সঙ্গে বিদ্রোহী শক্তিগুলো জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমটির এ দাবি তাৎক্ষণিক আলাদাভাবে যাচাই করা যায়নি।
এদিকে ইরান বাশারের পতন নিয়ে এখনো মন্তব্য করেনি।
গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ‘সিরিয়া সরকার এবং ন্যায্য বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর’ প্রতি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ সময় বিদ্রোহীরা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছিলেন। তবে তখনো তাঁরা রাজধানী দামেস্ক দখল করতে পারেননি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ আহ্বান সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তেহরানের সুর নরম হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কারণ, এর আগে তেহরান বিদ্রোহীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলত।