ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলার সাত মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেবি দেশটির সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুদ্ধ চলতে পারে আরও সাত মাস। অর্থাৎ চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ চলতে পারে।
গতকাল বুধবার ইসরায়েলের সম্প্রচারমাধ্যম কানে জাচি হানেবির সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। তিনি বলেন, ‘হামাস ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সামরিক ও শাসন করা সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করতে আমরা আরও সাত মাস লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আশা করছি।’
এমন এক সময় জাচি হানেবি এ কথা বললেন, যখন প্রায় আট মাস ধরে চলা যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে ইসরায়েল। এমনকি গাজায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান মিত্ররা ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছে।
মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্তবর্তী রাফায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন জাচি হানেবি। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সীমান্তসংলগ্ন এলাকাকে ‘চোরাচালানের রাজ্য’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
১৯৭৯ সালে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সই হয়েছিল। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজা ও মিসরের মধ্যে সংকীর্ণ বাফার জোন গড়ে তোলা হয়। এর নাম ‘ফিলাডেপলিহ করিডর’। গত বুধবার টিভিতে এক বার্তায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানান।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে মিসর। দেশটি বলছে, রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ড স্পষ্টতই ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।