ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশানের জানাজায় হাজির হয়েছিলেন কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানি
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশানের জানাজায় হাজির হয়েছিলেন কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানি

কয়েক সপ্তাহ পর প্রকাশ্যে এলেন ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল

বেশ কয়েক সপ্তাহ পর প্রকাশ্যে এলেন ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কমান্ডার ইসমাইল কানি। গত মাসে লেবাননে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে হিজবুল্লাহ–প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশান নিহত হন। এর পর থেকে ইসমাইল কানির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নানা জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ মঙ্গলবার জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশানের জানাজায় দেখা গেল তাঁকে।

মঙ্গলবার সকালে মধ্য তেহরানের ইমাম হোসেন স্কয়ারে আব্বাস নিলফোরুশানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রেভ্যুলশনারি গার্ডসের সবুজ সামরিক পোশাকে হাজির হন ইসমাইল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানাজার আনুষ্ঠানিকতা সরাসরি সম্প্রচার করে।

কুদস ফোর্স ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের বৈদেশিক শাখা। এই শাখা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কাজ করে।

আব্বাস নিলফোরুশানের জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ। ইমাম হোসেন স্কয়ার, তেহরান, ১৫ অক্টোবর

বেশ কিছুদিন ধরে ইসমাইল কানি জনসমক্ষে হাজির না হওয়ার কিছু কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

এদিকে ইমাম হোসেন স্কয়ারে জানাজার পর আব্বাস নিলফোরুশানের কফিন তেহরানের সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সড়কগুলো লোকারণ্য ছিল। তাঁর জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন। তাঁদের অনেকের হাতেই হিজবুল্লাহর ব্যানার এবং ইরান ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়। এ সময় তাঁরা ‘ইসরায়েলের ধ্বংস চাই’ স্লোগান দেন।

বুধবার ইরানের পবিত্র শহর মাশদাদে আব্বাস নিলফোরুশানের আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁর নিজ শহর ইস্ফাহানে তাঁকে দাফন করা হবে।

গতকাল সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ‘সর্বশক্তি’ প্রয়োগ করবে।