গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ৪৭ জন অ্যাথলেট নিহত হয়েছেন। একই সময়ের মধ্যে খেলাধুলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ১৭ জন টেকনিশিয়ান ও তত্ত্বাবধায়ক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার প্যালেস্টাইন অলিম্পিক কমিটির বরাতে ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এসব তথ্য জানিয়েছে। গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
প্যালেস্টাইন কমিটি আরও বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ছয় বছর বয়সী এক কারাতে খেলোয়াড়ও নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখত সে।
এদিকে শনিবারও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত আছে। ভোরে গাজার বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এদিন গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাহ ও উত্তরের গাজা নগরীতে বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে একটি আবাসিক ভবনে হামলার ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
গাজার কেন্দ্রভাগে আসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের কাছে আবাসিক বাড়িঘরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে।
ওয়াফার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলাস্থলে ইসরায়েলি ট্যাংক থাকার কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
দুই মাসের বেশি সময় আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আর ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে, হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।