হামাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কুচকাওয়াজে সশস্ত্র যোদ্ধারা। গাজা নগর, গাজা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
হামাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কুচকাওয়াজে সশস্ত্র যোদ্ধারা। গাজা নগর, গাজা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলকে আর ছাড় দেবে না হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় দিতে রাজি না থাকার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় মিসরের কায়রোয় আলোচনা অব্যাহত থাকার মধ্যে হামাস এ মনোভাবের কথা জানাল।  

গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় গতকাল বুধবারও ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে হুমকি দিয়েছে বড় ধরনের অভিযান শুরু করার।

মিসরের সঙ্গে রাফার সীমান্ত ক্রসিং থেকে গত মঙ্গলবার শহরটিতে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গাজায় বাইরে থেকে ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পথটি বন্ধ হয়ে যায়। ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের বাইরে পাঠানোর একমাত্র পথও এটি।

আগের দিন গত মঙ্গলবার মিসরের সঙ্গে রাফার সীমান্ত ক্রসিং থেকে শহরটিতে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গাজায় বাইরে থেকে ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পথটি বন্ধ হয়ে যায়। ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের বাইরে পাঠানোর একমাত্র পথও এটি।

ইসরায়েলি হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া আবাসিক ভবন থেকে রক্ষা পাওয়া মালামাল কুড়িয়ে নিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। গতকাল দক্ষিণ গাজার রাফায়

কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এল–রেশিক গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁরা গত সোমবার গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে যাবেন না।

প্রস্তাবে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মুক্তি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা আছে।

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আন্তরিক নয় এবং রাফায় আগ্রাসন চালানো ও সীমান্ত ক্রসিং দখলের ঘটনা আড়াল করার মাধ্যম হিসেবে সমঝোতাকে ব্যবহার করছে তারা।
ইজ্জাত এল-রেশিক, কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য

রেশিক বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আন্তরিক নয় এবং রাফায় আগ্রাসন চালানো ও সীমান্ত ক্রসিং দখলের ঘটনা আড়াল করার মাধ্যম হিসেবে সমঝোতাকে ব্যবহার করছে তারা।

হামাসের এ বক্তব্য নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। গত সোমবার দেশটি ঘোষণা করে, হামাসের গ্রহণ করা তিন দফার ওই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানা সম্ভব নয়; কেননা এটির শর্তগুলো খুব দুর্বল এবং তা কার্যকর করার মতো নয়।

দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মঙ্গলবার থেকে কায়রোয় বৈঠকে বসেছেন হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মিসরের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত আল–কাহেরা টিভি জানায়, গতকাল সারা দিন ও রাতেও আলোচনা করেছেন প্রতিনিধিরা।

ইতিমধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, হামাস তার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সংশোধন করেছে এবং এটি পর্যালোচনার মাধ্যমে সমঝোতা প্রচেষ্টায় চলা অচলাবস্থা দূর করা যেতে পারে।

হামাসের সর্বশেষ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, সমঝোতা থেকে খুব বেশি দূরে নয় দুই পক্ষ।