ইসরায়েলের ‘সম্প্রসারণবাদের বাড়তে থাকা হুমকি’ মোকাবিলায় ইসলামিক দেশগুলোর একটি জোট গঠন করা উচিত বলে মনে করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতির সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে গত শুক্রবার একটি বিক্ষোভ হয়। এতে অংশ নিয়েছিলেন তুর্কি-আমেরিকান নারী আয়েশেনূর এজগি আইগি।
ইসরায়েলি সেনারা মাথায় গুলি করে আয়েশেনূরকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিন ও তুরস্কের কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় হোয়াইট হাউস থেকে ‘চরম বিরক্তি’ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল শনিবার ইস্তাম্বুলের কাছে ইসলামিক স্কুলস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এরদোয়ান।
সেখানে এরদোয়ান ইহুদি বসতির অবৈধ সম্প্রসারণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ঐক্যই একমাত্র পদক্ষেপ, যা ইসরায়েলি দাম্ভিকতা, ইসরায়েলি দস্যুতা ও ইসলামিক দেশগুলোয় ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে পারে।
প্রতিবেশী মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে তুরস্ক সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদের বাড়তে থাকা হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যের বন্ধন গড়ে তোলাই এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য।
ইসরায়েলের ‘ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণবাদ’ লেবানন ও সিরিয়ার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে বলেও জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ানের এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি বলেন, এরদোয়ানের এই বক্তব্য ‘বিপজ্জনক মিথ্যা ও উসকানিমূলক’। এরদোয়ান ইরানের সঙ্গে মিলে এই অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত কম কট্টর দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করছেন বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ।
এ সপ্তাহে তুরস্ক সফরে যাবেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। আঙ্কারায় তাঁকে স্বাগত জানাবেন এরদোয়ান। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ১২ বছরে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে এটিই প্রথম সফর। এবারের সফরে দুই নেতা তুরস্ক ও মিসরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বরফ শীতল সম্পর্কের উন্নতি করতেও আলোচনা করবেন।