ইসরায়েলের হামলায় হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ‘সম্ভবত’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গাজায় তাদের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সম্ভবত ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তবে সিনওয়ার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছে না তারা। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এই বিবৃতির পর হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। হামাসের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণত গোষ্ঠীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট আল-মাজদে তথ্য প্রকাশ করা হয়। সিনওয়ারের বিষয়ে জানতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নয়; বরং হামাসের কাছ থেকে তথ্য আসা পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের অপেক্ষা করতে বলছে এই ওয়েবসাইট।
এদিকে ইসরায়েলের আর্মি রেডিও বলছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েলের সেনাদের স্থল হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনটি মরদেহ ইসরায়েলের সেনাদের কাছে রয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের একজন যে সিনওয়ার, ভিডিও-ছবি দেখে তারই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে নিহত ব্যক্তিদের ‘ডিএনএ পরীক্ষা’ করে দেখছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
যদি সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে তা হামাসের জন্য হবে বড় আরেকটি ধাক্কা। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় হামাসের সাবেক প্রধানসহ শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন নেতা নিহত হয়েছেন।
গত জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপর ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হামাসের প্রধান করা হয়। ইসরায়েল মনে করে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সিনাওয়ার। হামাস নেতা সিনওয়ার দীর্ঘদিন ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি বন্দী বিনিময়ের আওতায় মুক্তি পান।
কাতারের দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি আল-জাজিরাকে বলেন, সিনওয়ারকে হত্যার খবর যদি শেষ পর্যন্ত সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে হামাসকে একটি পুনর্গঠনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কারণ, ইতিমধ্যে হামাসের নেতৃত্বকাঠামো ভেঙে পড়েছে।