গাজায় বন্ধ হয়ে গেল আরও দুটি হাসপাতাল

ইসরায়েলি হামলায় স্বজন নিহত হওয়ায় শোকগ্রস্ত এক ব্যক্তি। গাজার আর-নিজ্জর হাসপাতালে, ১২ নভেম্বর
ছবি: এএফপি

জ্বালানিসংকটে ফিলিস্তিনের গাজার প্রধান হাসপাতাল আল শিফা আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। এবার সেখানকার আরও দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নতুন করে বন্ধ হওয়া হাসপাতাল দুটি হলো—আল-কুদস হাসপাতাল ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও অবরুদ্ধ গাজায় তীব্র জ্বালানিসংকটে একের পর এক হাসপাতাল কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

এ বিষয়ে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-খালৌত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জ্বালানিসংকটে হাসপাতালের প্রধান জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। এ কারণে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গাজার হাসপাতালগুলোয় যে শুধু রোগীরা রয়েছেন তা নয়, বরং ইসরায়েলি হামলার মুখে হাজারো অসহায় ফিলিস্তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। কামাল আদওয়ান হাসপাতালে রয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। তাঁদের ধারণা, আর যা-ই হোক, অন্তত হাসপাতালে হামলা করবে না ইসরায়েল।

তবে এ ধারণা সঠিক হয়নি। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও। জাতিসংঘ বলেছে, আল শিফা হাসপাতালে গত শনিবার থেকে তীব্র জ্বালানিসংকট শুরু হয়। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের কার্যক্রম। এর পর থেকে ইনকিউবেটরে রাখা দুটি অপরিণত শিশুসহ ১২ জন রোগী ও ৩ নার্সের মৃত্যু হয়েছে।

গত শুক্রবার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর সেখানকার ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ৪০ ভাগই শিশু।

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণবাহী কিছু ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।