হামাসের নিহত নেতা ইসমাইল হানিয়া
হামাসের নিহত নেতা ইসমাইল হানিয়া

হামাসের সাবেক প্রধান হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সোমবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেছেন, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নেতৃত্বকেও ‘কতল’ করবে ইসরায়েলি বাহিনী।

বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হুতিদের ওপর কঠোরভাবে আঘাত হানব.. এবং তাদের নেতৃত্বকে কতল করব... যেমনটা আমরা তেহরান, গাজা ও লেবাননে হানিয়া, (ইয়াহিয়া) সিনওয়ার ও (হাসান) নাসরুল্লাহর ক্ষেত্রে করেছি, ঠিক সেটাই আমরা হোদেইদা ও সানায় করব।’

ইসরায়েল কাৎজের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে হানিয়াকে হত্যার কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে তাঁকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরু থেকেই ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছিল ইরান ও হামাস। তবে এত দিন তা স্বীকার করেনি ইসরায়েল।

নিহত হওয়ার সময় হানিয়া তেহরানের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালার কক্ষে অবস্থান করছিলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এর কয়েক সপ্তাহ আগে ওই কক্ষে বোমা স্থাপন করে রেখেছিলেন ইসরায়েল কর্মকর্তারা। সেই বোমা বিস্ফোরণেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হানিয়া।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর ১৬ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হানিয়ার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিনওয়ার।