গাজা হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
কোথাও কোথাও ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে বিমান হামলায় অনন্ত ৫০০ জন নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠন হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরুর পর থেকে একক হামলায় এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানি।
এ হামলার ঘটনার পরপরই রামাল্লায় রাজপথে নেমে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে। বিক্ষোভকারীরাও নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছেন।
রামাল্লার প্রাণকেন্দ্র মানারা স্কয়ারে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ হামাসের সমর্থনে স্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পশ্চিম তীরের নাবলুস, তুবাস ও জেনিন শহরেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বিমান হামলার দায় অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া রকেটই হাসপাতালটিতে পড়েছে। পশ্চিমা ও আরব বিশ্ব এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। হামলার নিন্দা জানিয়ে জর্ডান ও তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাস এবং লেবাননে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ হয়েছে।
জর্ডানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মাহমুদ আব্বাসের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালে হামলার পর বৈঠক বাতিল করে পশ্চিম তীরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন আব্বাস।
পশ্চিম তীরে বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে আব্বাসের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা গেছে। পশ্চিম তীরের নিরাপত্তা রক্ষায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার কারণে আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়ে আসছে।