হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও হিজবুল্লাহর নেতারা বৈঠক করেছেন। গতকাল বুধবার লেবাননে বৈঠকটি হয়। বৈঠকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
গাজাভিত্তিক হামাস ও ইসলামিক জিহাদ ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন। হিজবুল্লাহ লেবাননভিত্তিক শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন। তিন সংগঠনেরই প্রধান প্রতিপক্ষ ইসরায়েল।
চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও হিজবুল্লাহর নেতাদের বৈঠকের ছবি সামনে এল।
ছবিতে হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরি এবং ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল নাখালাকে বৈঠক করতে দেখা যায়।
বৈঠকের বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বিজয় অর্জনের জন্য অবশ্যকরণীয় নিয়ে তিন নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হিজবুল্লাহ। এমনকি তারা লেবানন রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী। হিজবুল্লাহর সামরিক শাখা শিয়াপ্রধান রাষ্ট্র ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে পরিচিত।
হিজবুল্লাহর হাতে বিভিন্ন ধরনের প্রায় দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র আছে। গোষ্ঠীটির হাজার হাজার প্রশিক্ষিত যোদ্ধা আছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
প্রতিক্রিয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে হামাসের পক্ষে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে হিজবুল্লাহ। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি বিনিময় হচ্ছে। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বসতিতে হামলাও চালাচ্ছে। জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থানে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, হিজবুল্লাহ খুব বিপজ্জনক খেলা খেলছে। তারা পরিস্থিতিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলছে। ইসরায়েল প্রতিদিন হিজবুল্লাহর দিক থেকে বেশি হামলার ঘটনা দেখছে। ইসরায়েল শুধু নিজেদের রক্ষা করছে।