ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় সেখান থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, মরদেহ উদ্ধার হওয়া তিন জিম্মি হলেন ছানান ইয়াবলোনকা (৪২), মাইকেল নিশিনবাউম (৫৯) ও হার্নান্দেজ রাডোক্স (৩২)। ইয়াবলোনকা ইসরায়েলের নাগরিক। নিশিনবাউমের ইসরায়েল ও ব্রাজিলের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। আর হার্নান্দেজ ফ্রান্স ও মেক্সিকোর দ্বৈত নাগরিক। মরদেহ উদ্ধারের পর ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় জানা গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সংগীত উৎসব থেকে ইয়াবলোনকা ও হার্নান্দেজকে জিম্মি করে নিয়ে যান গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। আর নিশিনবাউম গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের সেদরত শহরের বাসিন্দা। হামাসের হামলার দিন তিনি তাঁর দাদিকে খুঁজতে সীমান্তলাগোয়া একটি সামরিক ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
গত সপ্তাহে গাজা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর ছানান ইয়াবলোনকার বোন আভিভিত ইয়াবলোনকা এএফপিকে বলেছিলেন, খারাপ কোনো খবর পাওয়ার আশঙ্কা করছে তাঁর পরিবার।
এর আগে যে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের একজন ইসরায়েল ও জার্মানির দ্বৈত নাগরিক শানি লুক। গতকাল মরদেহ উদ্ধার হওয়া হার্নান্দেজ তাঁর প্রেমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। হামলার সময় ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তে তাঁদের মধ্যে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের হিসাবে, এখনো গাজায় ১২১ জিম্মি আছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব জিম্মির ৩৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
হামাসের হামলায় সেদিন ইসরায়েলে ১১ শতাধিক মানুষ নিহত হন। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত সাত মাসের বেশি সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজায় অন্তত ৩৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি।