মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। গতকাল শনিবার হুতিদের ১৮টি স্থাপনা ও সরঞ্জামকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের কয়েক দফা হামলার পর নতুন এই হামলা হলো।
চলতি মাসে এটি হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চালানো দ্বিতীয় হামলা।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েমেনের ৮টি এলাকায় সুনির্দিষ্ট করে হুতিদের ব্যবহৃত ১৮টি স্থান ও সরঞ্জামকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে অস্ত্রের গুদাম, হামলাকারী ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, রাডার ও একটি হেলিকপ্টার।
অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ডেনমার্ক, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডও ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হুতিরা বাণিজ্যিক ও নৌবাহিনীর জাহাজে ৪৫টির বেশি হামলা চালিয়েছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও হুমকি। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহী–নিয়ন্ত্রিত শহরে নিযুক্ত এএফপির প্রতিনিধিরা বলেছেন, তাঁরা কয়েকটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন। হুতিদের পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় কয়েক ধাপে অভিযান চালানো হয়েছে।
হামলার পর আলাদা এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন বলেন, জীবন বাঁচাতে এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি পানিপথে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে যদি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিছপা হবে না।
লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হুতিদের হামলাকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়েছেন অস্টিন। এর পরিণতি যে ভালো হবে না, তা পরিষ্কারভাবে যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের বুঝিয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হুতিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, লোহিত ও আরব সাগরে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে আরও বেশি মানসম্মত সামরিক অভিযান চালানোর মাধ্যমে মার্কিন-ব্রিটিশ বাহিনীকে মোকাবিলা করবে বিদ্রোহীরা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার দেশটির বিমানবাহিনীর চারটি টাইফুন এফজিআরফোরএস যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে হুতিদের ব্যবহৃত কয়েকটি দূরপাল্লার ড্রোনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।