যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী মার্কিন–ইহুদি তরুণদের এক–তৃতীয়াংশের বেশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। গাজায় দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে করা নতুন একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপটি করেছে ইসরায়েলের প্রবাসীকল্যাণ ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ‘আমি হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল’—এ বক্তব্যকে ‘সমর্থন’ বা ‘শক্ত সমর্থন’ দিয়েছেন ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ মার্কিন–ইহুদি তরুণ। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের গণমাধ্যম এ খবর জানায়।
তবে ওই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাসকারী ইহুদি তরুণদের মধ্যে ৭ শতাংশ।
এদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিন–ইহুদি তরুণদের বড় একটি অংশ এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এ হার ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাসকারী ইহুদি তরুণদের মধ্যে এ হার ১০ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিন-ইহুদি তরুণদের বড় একটি অংশ এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এ হার ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিস্ময়কর হলো, মার্কিন-ইহুদি তরুণদের উল্লেখযোগ্য অংশ শুধু যে হামাসের প্রতিই সহানুভূতিশীল তা নয়, তাঁদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (৬৬ শতাংশ) সার্বিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ব্যাপারেও সহানুভূতিশীল।
জরিপে এ–ও দেখা গেছে, এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইসরায়েলপন্থী মনোভাব পোষণ করে, যেমন ৬২ শতাংশ মার্কিন–ইহুদি তরুণ নিজেদের ইহুদিবাদী বলে বিবেচনা করেন। অন্যদিকে ৮৪ শতাংশ বলেছে, ‘একটি ইহুদি রাষ্ট্র’ হিসেবে ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকার রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলের দাবি, এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করার অজুহাতে ওই দিন থেকেই গাজায় নারকীয় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তাদের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
তবে গাজার চিকিৎসকদের অনুমান, নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা এক লাখের বেশি। চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট বলছে, এ সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার বা এর বেশি।