ইরান ও ইসরায়েলের বিরোধ পুরোনো। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর জের ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরুর পর এই বিরোধ আরও বেড়ে যায়। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলাও চালিয়েছে তেহরান।
আজ শনিবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তেহরান ছাড়াও পাশের কারাজ শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যদিও হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
এর আগে থেকে ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইসরায়েলি সরকার।
আসুন, গত এক বছরে ইরান–ইসরায়েলের বিরোধপূর্ণ ঘটনাবলি একনজরে দেখে নেই—
১০ অক্টোবর, ২০২৩: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে যে হামলা হয়েছে তাতে ইরানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে হামলার ফলে ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা বিষয়ে ‘অপূরণীয় পরাজয়কে’ ইরান স্বাগত জানায়।
২ ডিসেম্বর, ২০২৩: সিরিয়ায় সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আইআরজিসির দুজন সদস্য ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এটাই ইরানি কোনো নাগরিকের নিহত হওয়ার প্রথম ঘটনা।
১ এপ্রিল, ২০২৪: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা হয়। ইরান ও সিরিয়া—দুই দেশই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে হামলায় দুজন ইরানি জেনারেল ও পাঁচজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪: ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলে এটাই প্রথম সরাসরি হামলার ঘটনা।
৩০ জুলাই, ২০২৪: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন হানিয়া।
৩১ জুলাই, ২০২৪: তেহরানে হামলায় নিহত হন ইসমাইল হানিয়া। হামাস ও ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। খামেনি বলেন, ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার জন্য ইসরায়েল নিজেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে।
১ অক্টোবর, ২০২৪: ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। তেহরান জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা ও লেবাননে প্রাণঘাতী হামলার জবাবে ইরানের পক্ষ থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আইআরজিসি এবং হামাস ও হিজবুল্লাহর নেতাদের হত্যার জবাব ছিল এ হামলা।