ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান নিযুক্ত হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করার আগপর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সিনওয়ার ছিলেন হামাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার প্রধান ছিলেন।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে রাজনৈতিক শাখার প্রধান নিযুক্ত করেছে। তিনি শহীদ কমান্ডার ইসমাইল হানিয়ার উত্তরসূরি হবেন। আল্লাহ তাঁকে (হানিয়াকে) ক্ষমা করুক।’
ইসমাইল হানিয়া গত ৩১ জুলাই ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক গুপ্তহত্যায় নিহত হন। ধারণা করা হয়, ইসরায়েল তাঁকে হত্যা করেছে। কিন্তু ইসরায়েল এ বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি।
নতুন দায়িত্বের পাশাপাশি সিনওয়ার আগের দায়িত্বও পালন করবেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, তিনি গাজায়ই রয়েছেন।
৬১ বছর বয়সী সিনওয়ারকে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে ধরা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন, আহত আরও কয়েক হাজার। এ ছাড়া দুই শতাধিক লোককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ লোক।
বছরের পর বছর ইসরায়েলি অবরোধের শিকার গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ। চলমান গাজা যুদ্ধে তাঁদের প্রায় সবাই এক বা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উপত্যকাটিতে এখন নজিরবিহীন মানবিক সংকট ও স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে।