ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তেল আবিবের রাজপথে বিক্ষোভ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তেল আবিবের রাজপথে বিক্ষোভ

আইসিসিতে নেতানিয়াহু ও সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনে ফ্রান্সের সমর্থন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনে সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটি বলছে, আইসিসির ‘স্বাধীনতার’ প্রতি সমর্থন রয়েছে প্যারিসের।

বিবৃতিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, এর স্বাধীনতা এবং সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে ফ্রান্স।

পশ্চিমা মিত্র, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালির মতো দেশের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে ফ্রান্সের এমন বিবৃতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ইস্যুতে এসব দেশ সব সময় একই সুরে কথা বলে।

ফ্রান্সের বিবৃতিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলারও নিন্দা জানানো হয়। সেই হামলাকে ‘ইহুদিবিরোধী কার্যক্রম’ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে। ফরাসি সরকার বলেছে, ওই দিন ‘নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার’ ঘটনা ঘটেছে।  

বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে ফ্রান্স। সতর্ক করে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের সংখ্যা গ্রহণযোগ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সেই সঙ্গে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে।

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। গতকাল এ ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর ধারাবাহিকতায় গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ আবেদন করা হয়েছে।

করিম খান বলেন, নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালন্টের গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের’ জন্য দায় রয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ‘যুদ্ধাপরাধে’ জড়িত উল্লেখ করে তাঁর নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে। এ তালিকায় আরও নাম আছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাসের আরও দুই নেতা—সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি; যিনি মোহাম্মদ দেইফ নামেই বেশি পরিচিত এবং হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার।

এ উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও হামাসকে এককাতারে তুলনা করা হচ্ছে। এটা বাস্তবতার বিকৃতি।

সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গতকাল বাইডেন বলেন, ইসরায়েল ও হামাস কোনোভাবেই সমতুল্য হতে পারে না।