লেবাননে বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। শনিবার শুধু রাজধানী বৈরুতেই ১২টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এদিন লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ব্যবহার করা সুড়ঙ্গ ধ্বংসেরও দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ লাখ কেজির বেশি (১০০ টন) বিস্ফোরক।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লেবাননে ধ্বংস করা ওই সুড়ঙ্গগুলো হিজবুল্লাহর রাদওয়ান বাহিনী ব্যবহার করত। এ ছাড়া বিস্ফোরক ব্যবহার করে মসজিদ, স্কুল ও বেসামরিক ভবনের ভূগর্ভস্থ কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় ‘অনেক সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের এ দাবির বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ।
এদিকে বৈরুতে ১২টি বিমান হামলার পাশাপাশি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ও বেকা উপত্যকায়ও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দুটি হামলা হয়েছে বৈরুত বিমানবন্দরের কাছে। বিমানবন্দরটি এখনো বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক স্থানে হামলা চালানোর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে খুব বেশি সময় দেওয়া হয়নি।
ইসরায়েল জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে দাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এ হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনো যাচাই করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হামলায় একটি বহুতল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
লেবাননের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (এনএনএ) খবরে বলা হয়েছে, শনিবার বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় একটি শহরের মেয়রও রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা।
শনিবার ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহও। আইডিএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক ঘণ্টায় দেশটিতে লেবানন থেকে ১৮০টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এদিনই তেল আবিবের কাছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এর মধ্য দিয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।