যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পণ্যবাহী উড়োজাহাজ থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য খাবার ফেলা হয়েছে।
গাজায় প্রবেশমুখগুলো অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার বোমা হামলার কারণে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এমন অভিযোগের পর এটাই গাজাবাসীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রথম সহায়তা দেওয়ার ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের বিমানবাহিনী একযোগে এ উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, গাজায় সম্মিলিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উড়োজাহাজ থেকে খাবার ফেলা হয়েছে। চলমান সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়ার জন্যই এ উদ্যোগ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার উপকূলীয় এলাকায় পণ্যবাহী সি-১৩০ উড়োজাহাজ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেট ফেলা হয়েছে। ওই এলাকায় বেসামরিক মানুষের ত্রাণ সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজা উপত্যকা মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে সেন্ট্রাল কমান্ড।
এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, গাজাবাসীর জন্য উড়োজাহাজ থেকে সহায়তাসামগ্রী ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি মারা যায়। এরপরই বাইডেন উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলার কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি গত শুক্রবার জানান, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে গাজায় কয়েক দফায় উড়োজাহাজ থেকে সহায়তাসামগ্রী ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র। জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
জন কারবি জানান, ট্রাকের তুলনায় উড়োজাহাজে করে সহায়তাসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। কেননা, নির্দিষ্ট এলাকায় উড়োজাহাজে করে সহজে ও দ্রুত তা নিয়ে যাওয়া যায়। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসন সাইপ্রাস থেকে সমুদ্রপথে সহায়তাসামগ্রী গাজায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও জানান একজন মার্কিন কর্মকর্তা।