ইরাকে গতকাল বুধবার মার্কিন বিমান হামলায় ইরানপন্থী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, অঞ্চলটিতে (মধ্যপ্রাচ্য) মার্কিন সেনাদের ওপর হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জড়িত ছিল।
গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়। এ হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হন ৩০ জনের বেশ মার্কিন সেনা।
হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ পরিচয় দিয়ে ইরাকের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে।
হামলার কড়া জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালায়। প্রতিশোধমূলক হামলা এখানেই শেষ নয় বলে তখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) বলে, গতকাল ইরাকে হামলা চালিয়ে ইরানপন্থী এক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার জবাব হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সেন্টকম বলেছে, হামলায় যিনি নিহত হয়েছেন, তিনি কাতায়েব হিজবুল্লাহর কমান্ডার। এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা, হামলায় অংশগ্রহণের জন্য তিনি দায়ী ছিলেন। হামলায় এই মুহূর্তে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই।
সেন্টকম আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। যারা মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধা করবে না।
কাতায়েব হিজবুল্লাহর এক সদস্য নিশ্চিত করেছেন যে গোষ্ঠীটির এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আবু বকর আল-সাদি।
ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পূর্ব বাগদাদে ড্রোন দিয়ে হামলাটি চালানো হয়। হামলায় মোট তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁদের দুজন কাতায়েব হিজবুল্লাহর নেতা। অপরজন তাঁদের গাড়িচালক।