গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ট্যাংক নিয়ে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ রাতভর অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি চলার মধ্যে এ ঘোষণা দিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান শেষ হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনারা ওই এলাকা ছেড়ে নিজেদের ভূখণ্ডে ফিরে গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অভিযানে অনেকগুলো সন্ত্রাসী ঘাঁটি, তাদের অবকাঠামো ও ট্যাংক–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এটি গাজায় ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রথম অভিযান নয়। ১৩ অক্টোবর হামাসের রকেট পরিচালনাকারী সদস্যদের ওপর হামলা চালাতে গাজায় সেনা ও ট্যাংক পাঠিয়েছিল ইসরায়েল। সেদিনই গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২২ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হন।
বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী এখনো স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে কখন থেকে এ অভিযান শুরু হবে, সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
গত সপ্তাহে নিজেদের জীবন বাঁচাতে গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলীয় অন্য এলাকার ১১ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল।
তবে জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়া কিছুসংখ্যক ফিলিস্তিনি আবারও নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই নিজেদের এলাকায় ফিরছেন তাঁরা।