ইরাকের ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল–সদর
ইরাকের ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল–সদর

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের দাবি ইরাকের ধর্মীয় নেতার

ইরাকের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল–সদর দেশটির রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে তাঁর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের গাজায় একটি আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কয়েক ডজন বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার এ কথা বলেন তিনি।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা শহরে গত রোববার রাতে একটি আশ্রয়শিবিরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ওই শিবিরের তাঁবুগুলো আগুনে পুড়ে যায়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, এই হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি বিবৃতিত পোস্ট করেছেন মুকতাদা আল–সদর। তিনি হামলার সমালোচনা করে বলেন, ‘গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তাতে নির্লজ্জ সমর্থন দিচ্ছে ওয়াশিংটন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং রক্তপাত ছাড়া কূটনৈতিক কৌশলে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি আবারও জানাচ্ছি।’

মুকতাদা আল–সদর ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা। একসময় মিলিশিয়া বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পরে অস্ত্র ছেড়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কিনবিরোধী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ২০০৩ সালের পরবর্তী সময়ে ইরাকে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল মুকতাদা আল–সদরের বাহিনী।

ইরাকি শিয়াদের মধ্যে মুকতাদা আল–সদরের বেশ প্রভাব রয়েছে। লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে তাঁর। তাই দেশের জাতীয় রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখেন এই ধর্মীয় নেতা।  

এদিকে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজায় আশ্রয়শিবিরে হামলায় হতাহতের ঘটনায় সমালোচনা করে বলেছে, গাজায় ‘দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে’ ইসরায়েল। সেই সঙ্গে এসব বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ও ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়রে প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।