তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজা সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনে তাঁর দেশ ইসরায়েলে ঢুকবে। গতকাল রোববার নিজ শহর রাইজে দলীয় একে পার্টির এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক এর আগে লিবিয়া ও নাগারনো–কারাবাখে ঢুকেছে। ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও তাঁরা ভেতরে ঢুকতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমাদের অনেক কঠিন হতে হবে, যাতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে এ ধরনের উপহাস করতে না পারে।’
অবশ্য ইসরায়েলের ভেতরে কী ধরনের হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন এরদোয়ান, তা স্পষ্ট করেননি। গাজায় ইসরায়েলি হামলা বড় ধরনের সমালোচক হিসেবে দেখা হয় এরদোয়ানকে। নিজ দেশের প্রতিরক্ষা খাতের প্রশংসা করে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি ইসরায়েলে হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এরদোয়ান এ সময় বলেন, ‘আমরা এটা করতে পারব না, এমন কোনো কারণ নেই। আমাদের শক্ত হতে হবে, যাতে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি।’
এ বিষয়ে অবশ্য পরে একে পার্টি থেকে বা ইসরায়েল থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে আজ সোমবার ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে দুজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমিতে গত শনিবার রকেট হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত হওয়া নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মাজদাল শামস এলাকায় একটি ফুটবল মাঠে ওই রকেট হামলা হয়।
ওই হামলার জন্য লেবাননের হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এমন অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই পক্ষকে সংযত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
গোলানে হামলার ঘটনায় কীভাবে এবং কখন সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সরকারকে অনুমতি দিয়েছে নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ। রোববার রাতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে ইসরায়েল কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা সূত্রে ইসরায়েলি একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদক্ষেপ সীমিত হলেও তা সুনির্দিষ্ট হবে হবে। সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দরগুলোতে হিজবুল্লাহর অস্ত্রের গুদাম লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উচ্চপর্যায়ের কমান্ডারদের লক্ষ্য করেও হামলা হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ইরান। দেশটি বলেছে, লেবাননে নতুন করে সামরিক অভিযান চালানো হলে তা ‘নজিরবিহীন পরিণাম’ বয়ে আনবে।