মাস্কাটে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির সঙ্গে বৈঠক করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ছবিটি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল
মাস্কাটে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির সঙ্গে বৈঠক করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ছবিটি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি চায় ইরান

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাতের মধ্যেই এল এই বৈঠকের খবর। তবে কত দিন এ বৈঠক চলবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

আজ ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচনায় অংশ নিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল মাস্কাটে পৌঁছেছে। ইরানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। অন্যদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভিতে সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাস্কাটে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির সঙ্গে বৈঠক করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার অংশ হিসেবে আরাগচি ইরানের প্রধান দাবিগুলোর পাশাপাশি এ নিয়ে তেহরানের অবস্থান ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন।

আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি করতে চায় তাঁর দেশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সমান অবস্থান থেকে একটি ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি করা। যদি অপরপক্ষ (যুক্তরাষ্ট্র) একই অবস্থান থেকে আসে তাহলে আশা করা যায় প্রাথমিক একটি বোঝাপড়া তৈরি হবে। এতে দুই পক্ষের আলোচনার পথ খুলে যাবে।’

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার খবর শোনা যাচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। তবে কোথায় এ আলোচনা হবে, তা জানা যাচ্ছিল না। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে না আসে, তাহলে ওয়াশিংটন সামরিক পদক্ষেপ নেবে।