বিস্ফোরণে নিহত একজনের দাফন অনুষ্ঠানে জনতা ঢল নামে। শোকার্ত স্বজনেরা ‘প্রতিশোধ প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। কেরমান, ইরান। ৫ জানুয়ারি, ২০২৪
বিস্ফোরণে নিহত একজনের দাফন অনুষ্ঠানে জনতা ঢল নামে। শোকার্ত স্বজনেরা ‘প্রতিশোধ প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। কেরমান, ইরান। ৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ইরানের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কেরমানে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল শুক্রবার ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

কেরমান শহরে গত বুধবার ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের কাছে বিস্ফোরণ হয়। সেদিন ছিল সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ওই সময় শত শত মানুষ হেঁটে তাঁর সমাধিস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেরমানে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে সহায়তার অভিযোগে দুজনকে নিরাপত্তা বাহিনী আটক করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দেশটির অন্যান্য জায়গা থেকে আরও নয়জনকে আটক করা হয়েছে।

১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর এটি ছিল সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।

বিস্ফোরণে নিহতদের গত শুক্রবার দাফন করা হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, শোকার্ত স্বজনেরা কফিন নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ‘প্রতিশোধ প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের এজেন্টরা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিস্ফোরক ডিভাইস, বোমা তৈরির রসদ, বিস্ফোরক বেল্ট, দূরনিয়ন্ত্রিত ডিভাইস, বিস্ফোরক পদার্থ ও ভেস্টে ব্যবহার করা হয় এমন শত শত পেলেটস জব্দ করেছে।

রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি কেরমানের ইমাম আলী ধর্মীয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জানাজায় বলেছেন, ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব।’

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থান ও সময় নির্ধারণ করবে।’