ফিলিস্তিনের গাজা নগরীর পশ্চিমের আশপাশের এলাকা ফাঁকা করার আদেশ নতুন করে জারি করেছে ইসরায়েল। এ আদেশের আওতাভুক্ত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ৮৮ হাজার ফিলিস্তিনি বসবাস করে আসছিলেন। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
আদেশের আওতাভুক্ত এলাকায় আল শাতি শরণার্থীশিবির আছে। গত ৭ অক্টোবরের আগে আদেশভুক্ত এলাকাটি প্রায় তিন লাখ ফিলিস্তিনির আবাসস্থল ছিল। ওসিএইচএ গত সোমবার তার নিয়মিত হালনাগাদে এ তথ্য জানায়।
ওসিএইচএ বলেছে, ইসরায়েলের নতুন আদেশের আওতাভুক্ত এলাকার আয়তন ১২ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার, যা গাজা উপত্যকার মোট এলাকার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
ওসিএইচএ বলেছে, ইসরায়েল ১ ডিসেম্বর থেকে এলাকা ফাঁকা করার বিষয়ে সময়সীমা ঠিক করে আদেশ জারি শুরু করে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকার প্রায় ৪১ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের এ ধরনের আদেশের আওতায় এসেছে।
গাজা নগরী গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে পড়েছে। গাজা নগরীর পশ্চিমের বাসিন্দাদের দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বলেছে ইসরায়েল।
তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় অনেক ফিলিস্তিনি গাজার দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান শহর খান ইউনিস ছেড়ে গেছেন। অন্যদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আরেক শহর রাফাহ ইতিমধ্যে বিপজ্জনকভাবে জনাকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ হামলায় ১ হাজার ১৪০ জনের মতো নিহত হন। প্রায় ২৪০ জনকে তারা আটক করে গাজায় নিয়ে যায়। জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।