ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক ডজন ‘কাতিউশা’ রকেট ছুড়েছে লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। গতকাল শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানো হয়। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি।
উত্তর ইসরায়েল ও অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ‘শত্রুপক্ষের কামানের বিভিন্ন স্থাপনায়’ এ হামলা চালানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। হামলার পর উপদ্রুত এলাকাগুলোতে সাইরেন বাজতে শোনা যায়। এ সময় তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ৪০টি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে শনাক্ত করা গেছে। সেগুলোর বেশির ভাগ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। বাকিগুলো খোলা জায়গায় পড়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়টাতে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেই কেবল হামলা থামাবে তারা।
হিজবুল্লাহ এমন সময়ে এ হামলা চালাল, যখন দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তেহরান। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের হামলার মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎস বলেছেন, তাঁর দেশে যদি ইরানি ভূখণ্ড থেকে হামলা চালানো হয়, তাহলে জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানো হবে।
দক্ষিণ লেবানন থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেমি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে খারাপ হচ্ছে। পরের ধাপে কী হবে, তার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।’