ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর দেশ বিজয় অর্জন করবে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন।
এক্স পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘আমরা প্রতিহত করেছি, হটিয়ে দিয়েছি, একসঙ্গে আমরা জয়ী হব।’
রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, প্রায় সব ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনী ওই অঞ্চলে রয়েছে। মিত্রদের সুরক্ষার জন্য ওয়াশিংটনের দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান বাইডেন।
শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে গতকাল শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ৮টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা এটি।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দুই শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সীমান্তের বাইরে থাকতেই প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে ইরান। সেখানকার অবকাঠামোগুলোতে হালকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, হামলায় এক মেয়েশিশু আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে হামলা হয়। ওই হামলায় ইরান রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ সাত কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়। যদিও ইসরায়েল দায় স্বীকার করেনি, তবে হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।