গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল, ৭ ডিসেম্বর
গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল, ৭ ডিসেম্বর

গাজায় ইসরায়েলের হামলার দুই মাসে কী ঘটল

দুই মাস আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে তারা।

রয়টার্সের খবর বলছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, এ পর্যন্ত গাজায় ১৭ হাজার ১৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ। ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে, হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন, ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।

দুই মাসে গাজা উপত্যকায় কী ঘটল, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক—

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালান। এতে কমপক্ষে ১ হাজার ১৪৭ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ৩২০ জন ইসরায়েলি সেনা এবং ৫৯ জন পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে আটক করে হামাস।

এরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়া এবং জিম্মিদের মুক্ত করার শপথ নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
এক দিন পর গাজায় খাদ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে উপত্যকার ওপর পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল।

এরপর কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্বিচার বোমা হামলা চালাতে থাকে। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে।

অক্টোবরের শেষের দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে যুদ্ধের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করে ইসরায়েল।

২৪ নভেম্বর কাতারের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ সময় ইসরায়েল থেকে আটক জিম্মিদের মধ্য থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে কমপক্ষে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই গত শুক্রবার থেকে গাজায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

তখন থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক অভিযান বিস্তৃত করেন ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি সেনারা এখন খান ইউনিস এলাকায় হামলা চালাচ্ছেন।