আল–শিফা হাসপাতালে যা পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

আল-শিফা হাসপাতালের বাইরের অংশ, ১০ নভেম্বর
ছবি: এএফপি

গাজা উপত্যকার আল–শিফা হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে জিম্মিদের কিছু ফুটেজ পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস যাঁদের জিম্মি করেছিল, তাঁদের ফুটেজ সেগুলো।

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় আল–শিফা হাসপাতালের ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী তল্লাশি চালায়। হাসপাতালটির নিচে হামাসের আস্তানা আছে দাবি করে অভিযান চালানো হয়। তবে হামাস ও হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হাসপাতাল ভবনে রাইফেল, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক পেয়েছে। কিছু কম্পিউটার ও সরঞ্জামও জব্দ করেছে তারা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনারা একই সময়ে গোটা ভবনে অভিযান চালিয়েছে, প্রতিটি তলায় তলায় তল্লাশি করেছে। ওই ভবনে তখন শত শত রোগী ও চিকিৎসাকর্মী ছিলেন।’

হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের রেডিওলজি সেবা ধ্বংস করে দিয়েছে। বার্ন ও ডায়ালাইসিস বিভাগগুলোতে বোমা হামলা করেছে তারা। অসুস্থ ও আহত হাজারো নারী ও শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে আছে।

গত বুধবার আল–শিফা হাসপাতালের ভবনে ইসরায়েলি সেনারা প্রথমবারের মতো সশরীর ঢুকে পড়েন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার হিসাব অনুসারে, আল–শিফা হাসপাতালে ২ হাজার ৩০০ রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকেরা ছিলেন। হাসপাতালটিতে খাবার, পানি নেই। জেনারেটর চালানোর জ্বালানি নেই।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার ও বিরামহীন হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, চলমান যুদ্ধের কারণে গাজার ৩৬টি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি হাসপাতাল অচল হয়ে গেছে।