লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর পাশাপাশি ইরানের আইআরজিসির কুদস ফোর্স শাখার একজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের ‘জবাব না দিয়ে থাকা হবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি।
গত শুক্রবার ইরান–সমর্থিত লেবাননের শিয়াপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বৈরুতের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নাসরুল্লাহর পাশাপাশি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি কার্ড কোরের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডারদের একজন জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশান নিহত হন। এর দুদিন পর আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি এই হুঁশিয়ারি দিলেন।
উল্লেখ্য, কুদস শাখার মাধ্যমে দেশের বাইরে অভিযানসহ তৎপরতা চালায় ইরান।
এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়, ইসরায়েল দাবি করেছে, নাসরুল্লাহকে হত্যায় চালানো হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের আরও ২০ নেতা নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আগ্রাসী ইহুদি শাসনের এই ভয়াবহ অপরাধের জবাব দেওয়া হবে। ইরান তার রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সক্ষমতা দিয়ে অপরাধী ও তাদের সমর্থকদের জবাব দেবে।
হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। আজ রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, ইরানের কৌশলগতবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাবেদ জাফরি বলেছেন, ‘যথাসময়ে জবাব দেওয়া হবে। আর এটি হবে ইরানের ইচ্ছাতে এবং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, এক বিবৃতিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে আইআরজিসি। বিবৃতিতে লেবাননে ‘ইহুদি শাসনের অপরাধের’ নিন্দা জানানো হয়। সেখানে নিলফোরোওশানকে আইআরজিসির ‘লেবাননের সামরিক উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ওই ঘটনার পর তাঁর হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে কয়েক দফা হুমকি দেয় আইআরজিসি।
‘প্রতিরোধ ফ্রন্ট’ ও ইরানকে রক্ষায় আব্বাস নিলফোরোওশানের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে বিবৃতিতে। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খোমেনির পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে আলী জাহেদির উত্তরসূরি হিসেবে নিলফোরোওশানকে আইআরজিসির অপারেশন বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি আইআরজিসির কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ ইউনিভার্সিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া প্যারামিলিটারি বাজিস ফোর্সেসকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইমাম হোসেন হেডকোয়ার্টার্সের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমান্ডার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।