ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ফিলিস্তিনের প্রতি মালালার সমর্থন নিয়ে সম্প্রতি তাঁর নিজ দেশ পাকিস্তানে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রডওয়েতে একটি গীতিনাট্যের সহপ্রযোজনা করেন মালালা। সেটায় আরেকজন সহপ্রযোজক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
হিলারি যেহেতু ইসরায়েলপন্থী হিসেবে পরিচিত, তাই পাকিস্তানে বিতর্ক ছড়ায় যে মালালাও ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর সমর্থন থেকে সরে এসেছেন। এমন বিতর্কের মুখে আজ বৃহস্পতিবার এক্সে পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন মালালা।
পোস্টে মালালা বলেন, ‘আমি এখানে বলতে চাই যে গাজার মানুষের প্রতি আমার সমর্থন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’
মালালা আরও বলেন, ‘আমরা আরও মরদেহ দেখতে চাই না। বিদ্যালয়ে বোমাবর্ষণ ও ক্ষুধার্ত শিশুদের দেখতে চাই না। সেখানে (গাজায়) যুদ্ধবিরতি জরুরি ও প্রয়োজনীয়।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা বলেন, ‘আমি ইসরায়েল সরকারের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের নিন্দা জানিয়েছি, ভবিষ্যতেও জানাব।’
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শুরুর পর থেকে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশের মতো পাকিস্তানেও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো পাকিস্তানি। এর মধ্যে হিলারির সঙ্গে গীতিনাট্য সহপ্রযোজনা করায় সমালোচনার মুখে পড়েন মালালা।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানের জনপ্রিয় কলামিস্ট মেহের তারা এক এক্স পোস্টে লেখেন, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সমর্থক হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গ গীতিনাট্য সহপ্রযোজনা করে মালালা ইউসুফজাই একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে নিজের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন।
মালালার এমন অবস্থানকে ‘দুঃখজনক’ বলেও মন্তব্য করেন মেহের তারার।
যদিও এর আগে গাজায় বেসামরিক মানুষের নির্বিচার হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন মালালা। সেই সঙ্গে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন।