যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক

গাজায় ‘টেকসই’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান যুক্তরাজ্য-জার্মানির

ফিলিস্তিনের গাজায় ‘টেকসই যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।

গতকাল শনিবার দেশ দুটির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেছেন, গাজায় একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি জরুরি প্রয়োজন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস পত্রিকায় একটি যৌথ নিবন্ধে লিখেছেন। নিবন্ধে তাঁরা বলেছেন, এই সংঘাতে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান দ্রুত, কিন্তু টেকসইভাবে শেষ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বেড়েছে।

ক্যামেরন ও বেয়ারবক লিখেছেন, একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত করার জন্য তাঁদের যথাসাধ্য কাজ করতে হবে, যা একটি টেকসই শান্তি নিয়ে আসবে। যত তাড়াতাড়ি তা হয়, ততই ভালো। প্রয়োজনটা জরুরি।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য এ কথাও লিখেছেন, এখনই তড়িঘড়ি একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সামনের পথ মসৃণ হবে বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন না।

ক্যামেরন ও বেয়ারবক আরও লিখেছেন, তেমন যুদ্ধবিরতির ডাক ইসরায়েলের আত্মরক্ষার বাধ্যবাধকতার বিষয়টিকে উপেক্ষা করে। হামাস বর্বরভাবে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। তারা এখনো প্রতিদিন ইসরায়েলি নাগরিকদের হত্যার জন্য রকেট ছুড়ছে। হামাসকে অবশ্যই তার অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিল যুক্তরাজ্য।

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল তার মিত্রদের কাছ থেকেই ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়ছে।

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলাকে ‘নির্বিচার’ বলে সমালোচনা করছে ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ১৮ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।