গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে কাবাবটি
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে কাবাবটি

২৪৬ ফুট দীর্ঘ কাবাব, পোড়ানোর পর তুলতে লাগে ৩০ জন

মনকাড়া ঘ্রাণে কাবাব খেতে ইচ্ছে কার না করে। কত রকমফেরই না হয় এ কাবাবের। একেক কাবাব তৈরি হয় একেক উপাদানে, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে। আবার কোনো কোনো দেশে রয়েছে নানা ঐতিহ্যের কাবাব। তেমনই একটি কাবাব ‘শেফতালিয়া’। সাইপ্রাসে একটি উৎসবে এবার ২৪৬ ফুট দীর্ঘ শেফতালিয়া তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য এত দীর্ঘ কাবাব তৈরি করার লক্ষ্য ছিল, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলা।  

সেন্ট লাজারুসের সম্মানে প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে ‘সেন্ট লাজারুস ও তাঁর ছোট্ট বন্ধু সাভাস’ নামের উৎসব আয়োজন করা হয়। সেখানেই রাঁধুনিদের একটি দল ২৪৬ ফুটের (৭৫ মিটার) ওই কাবাব তৈরি করেন। কাবাবটি রান্নার পর (পোড়ানো) সেটি তুলতে ৩০ জনের মতো প্রয়োজন হয়। অনেকটা সসেজের মতো দেখতে এ শেফতালিয়া সাইপ্রাসের মানুষের দারুণ পছন্দের। এ কাবাবের জন্মও সাইপ্রাসেই। 

শেফতালিয়া সসেজের মতো দেখতে হলেও এতে সসেজের উপরিভাগে থাকা আবরণ ব্যবহার করা হয় না। পরিবর্তে ভেড়ার পাকস্থলীর চারপাশে যে চর্বিযুক্ত ঝিল্লি থাকে, সেটি দিয়েই এ কাবাবের উপকরণ মোড়ানো হয়। 

এ বছরের ১৪ অক্টোবর সাইপ্রাসের লারনাকা শহরে চতুর্থ ‘সেন্ট লাজারুস ও তাঁর ছোট্ট বন্ধু সাভাস’ উৎসব আয়োজন করা হয়। এ উৎসব থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করা হয় দাতব্য কাজে।এ বছর দেড় শর বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান উৎসবে অংশ নিয়েছে। তাদের সবার লক্ষ্যই এক—সেন্ট লাজারুস সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহ। লাজারুস সেন্টার থেকে প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করা হয়, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের।