ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা এলাকার একটি ব্যস্ত সড়কে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ওই সড়কে ফিলিস্তিনিদের মরদেহ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাফা থেকে আল–জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, আজ শনিবার রাফার দক্ষিণে আল–জেনেইনা এলাকার আল–দাখিলিয়া সড়কে ওই হামলা চালানো হয়। হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে ‘মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে।’ হামলায় সড়কে থাকা অনেক গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সড়কের পাশে অনেককে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে হানি মাহমুদ জানান, ওই সড়কে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে ছিল। সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি দুটি মরদেহ ছিন্নভিন্ন হওয়ায় তাদের শনাক্ত করার কঠিন হয়ে পড়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের স্থানীয় আল–নাজ্জার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রাফায় বর্তমানে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি বসবাস করছেন। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে প্রায় বাঁচাতে উপত্যকাটিতে আশ্রয় নিয়েছেন এই ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে সেখানে চরম মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এরই মধ্যে রাফায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে স্থল অভিযানও চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর বিরোধিতা করেছে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। তবে এখনো পর্যন্ত নিজ সিদ্ধান্তে অটল নেতানিয়াহু।
রাফার পাশিপাশি আজ মধ্য গাজার দেইর আল–বালাহ এলাকাও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা একটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেখানেই কামানের গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় এ সহিংসতার শুরু গত বছরের ৭ অক্টোবর। সেদিন ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। তখন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ২৯ হাজার ৬০৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৬৯ হাজার ৭৩৭ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।