গাজার রাস্তায় রাস্তায় উপচে পড়ছে পয়োবর্জ্য

ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনে উদ্ধারকাজ চলছে। শুক্রবার গাজার খান ইউনিসে
ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাস্তায় রাস্তায় পয়োবর্জ্য উপচে পড়ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এবং উপত্যকাটিতে জরুরিভিত্তিতে আরও মানবিক ত্রাণসহায়তার প্রয়োজনীতার কথা তুলে ধরেন ফিলিপ লাজারিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলছি, তখন গাজার বাসিন্দারা মারা যাচ্ছেন। সেখানে মৌলিক সেবাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, গাজায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাগুলো পয়োবর্জ্য উপচে পড়া শুরু করেছে। উপত্যকাটি মারাত্মক স্বাস্থ্যবিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ছে।

গাজায় ইউএনডব্লিউআরএর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এমন সতর্কবার্তা দিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে, আমি সতর্ক করে বলেছিলাম, জ্বালানি না পেলে গাজায় আমাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারব না। আমার সেই সতর্কবার্তা এখনো বহাল রাখছি।’

কয়েক দিন ধরে ইউএনডব্লিউআরএ খুবই সীমিত জ্বালানি ব্যবহার করছে উল্লেখ করে লাজারিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, যেগুলো কোনো মানবিক সহায়তাকর্মী করেন না।’

৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। এতে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৭ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।