যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে হামাসকে যে শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতির মধ্যে নিরাপত্তার আশায় উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে পালাচ্ছেন লোকজন। সোমবার গাজা নগরীর কাছে
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হচ্ছে আজ সোমবার। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে একটি শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। তা হলো গোষ্ঠীটির হাতে জিম্মি অবস্থায় থাকা আরও ইসরায়েলিকে মুক্তি দিতে হবে।

ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ইলন লেভি আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে দেশে ফেরাতে চাই। সে লক্ষ্যে আজ রাতের পর আরও ৫০ জিম্মিকে মুক্ত করাতে চাই আমরা।’

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য ১০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে এর তিন গুণ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। সে হিসাবে হামাস নতুন করে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও পাঁচ দিন বাড়তে পারে।

৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরুর দেড় মাস পর গত বুধবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির চার দিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দিনগুলোয় গাজায় হামলা বন্ধ রাখা হবে। সেখানে ত্রাণ প্রবেশেও কোনো বাধা দেওয়া হবে না।

ইসরায়েলের মতো হামাসও যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী। গতকাল রোববার এক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই থেকে চার দিন বাড়ানোর বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে হামাস। এই সময়ে ইসরায়েলের আরও ২০ থেকে ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দিতে চায় তারা।

যুদ্ধবিরতির চুক্তির মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিসর। মিসরের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র আজ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। হামাস যুদ্ধবিরতি আরও চার দিন বাড়াতে চাইছে। অপর দিকে ইসরায়েল চাইছে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে এক দিন করে মেয়াদ বাড়াতে।

এদিকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আবার হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারের মুখপাত্র ইলন লেভি বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া থামানোর সঙ্গে সঙ্গে হামাস নির্মূলের অভিযান শুরু হবে।’