গাজায় হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশু ১৭৫৬

ইসরায়েলের হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য নারী–শিশু। খান ইউনিস, গাজা উপত্যকা, ফিলিস্তিন, ২০ অক্টোবর
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী, শিশু ও প্রবীণ। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ৮৪ ফিলিস্তিনি।

গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬টি শিশু রয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনি নারীর সংখ্যা ৯৬৭। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত নারী ও শিশুর সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই দুই হাজারের বেশি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানির অভাবে গাজায় ৭টি হাসপাতাল ও ২৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে অন্য হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, যেগুলোতেও চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। ওই হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার ১৫০ শতাংশ বেশি রোগী ভর্তি করা হয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে হতাহতদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতালের বাইরে অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ পরে অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে। শনিবার সকালে মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ২০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করেছে ফিলিস্তিনে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানি, ওষুধসহ স্বাস্থ্যসামগ্রী। তবে প্রয়োজনের মাত্র ৩ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবাসামগ্রী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তাকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা।

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামলা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রতিনিয়ত হামলা জোরদার করছে তারা। ইসরায়েলের হামলায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।