লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের নগর সাইডনে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলের হামলায় ফাতাহ নেতা মুনির আল-মাকদাহর ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে বেঁচে গেছেন আল-মাকদাহ। এই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি একটি সূত্র বলছে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে সাইডনের আইন আল-হিলওয়েহ শরণার্থী ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই শিবিরে আল-মাকদাহর আশ্রয়স্থল লক্ষ্য করেই ইসরায়েল হামলা চালায়।
আল-মাকদাহ লেবাননে আল-আকসা মার্টিরস ব্রিগেডের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। এটি ফাতাহর মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট।
লেবাননে ফিলিস্তিনিদের বড় শরণার্থীশিবিরগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন আল-হিলওয়েহ শরণার্থী ক্যাম্প। গত বছর অক্টোবরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এই শরণার্থী ক্যাম্পটিতে হামলা চালাল ইসরায়েল। এই শিবিরে প্রচুর শরণার্থী রয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগুলোতে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’তাঁরা স্থল অভিযান শুরু করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রামগুলোয় হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক ঘণ্টা আগে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে স্থল বাহিনী প্রবেশ করেছে।
গত সপ্তাহে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে জোরালো হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণে হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।
ইসরায়েলি হামলার মুখে লেবাননে ইতিমধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের স্থল হামলা মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।