জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে স্থাপন করা শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে বসে আছে এক ফিলিস্তিনি শিশু। খান ইউনিস, ফিলিস্তিন, ৩ ডিসেম্বর
জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে স্থাপন করা শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে বসে আছে এক ফিলিস্তিনি শিশু। খান ইউনিস, ফিলিস্তিন, ৩ ডিসেম্বর

ডব্লিউএইচওর প্রধানের যে অভিযোগ অস্বীকার করল ইসরায়েল

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার একটি গুদাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে দিতে বলেছে ইসরায়েল। মূলত ওই এলাকায় স্থল অভিযান শুরুর প্রাক্কালে গুদামটি খালি করতে বলা হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, সংস্থাটিকে এমন কোনো কথা বলা হয়নি; বরং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে কথা বলা উচিত।

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সোমবার। ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে লেখেন, ‘আজ (সোমবার) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডব্লিউএইচও একটি বার্তা (নোটিফিকেশন) পেয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার একটি গুদাম (ওয়্যারহাউস) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে দিতে বলা হয়েছে।’

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস আরও লেখেন, ‘আমরা ইসরায়েলের কাছে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করছি। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমসহ বেসরকারি ব্যক্তিদের জীবন ও অবকাঠামো রক্ষায় সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাই।’

ডব্লিউএইচওর প্রধানের এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ফিলিস্তিনি বেসামরিক-সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ সিওজিএটি। আজ মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তারা বলেছে, ‘সত্য হলো, আমরা এমন কোনো নির্দেশনা দিইনি। গুদাম খালি করতে বলিনি। আমরা বিষয়টি জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

সিওজিএটি আরও বলেছে, ‘জাতিসংঘের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে আমরা আরও সঠিক মন্তব্য আশা করি।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রাণ যায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলির। জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে। ওই দিন অবরুদ্ধ গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মাঝের সাত দিন যুদ্ধবিরতি বাদ দিলে প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাদ যায়নি গাজার স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল। দুই মাসের নির্বিচার হামলায় প্রাণ গেছে ১৫ হাজার ৯০০ মানুষের। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। এখন গাজা উপত্যকায় আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।