গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এশতায়েহ। রামাল্লাহ, ফিলিস্তিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এশতায়েহ। রামাল্লাহ, ফিলিস্তিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলি নির্যাতন–গণহত্যা

পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোহাম্মদ এশতায়েহ। গাজায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে তিনি তাঁর সরকারের পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন। আজ সোমবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এশতায়েহ। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার পশ্চিম তীর শাসন করত।

এশতায়েহ বলেন, ‘পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে নজিরবিহীন মাত্রায় সহিংসতা বৃদ্ধি এবং গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও খাদ্যাভাবকে কেন্দ্র করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এশতায়েহ মনে করেন, পরবর্তী ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য নতুন সরকার ও নতুন রাজনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষে রদবদল এবং যুদ্ধ–পরবর্তী ফিলিস্তিনকে পরিচালনায় একটি রাজনৈতিক কাঠামোর ব্যাপারে কাজ শুরু করতে মাহমুদ আব্বাসের ওপর যখন মার্কিন চাপ জোরালো হচ্ছে, তখনই এমন বক্তব্য দিলেন এশতায়েহ।

মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিক এবং গাজা শাসন করুক, তা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চান না। বিভিন্ন সময়েই তিনি এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যেকোনো ‘একতরফা’ স্বীকৃতিকে নেতানিয়াহু প্রত্যাখ্যান করেন। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর এমন অবস্থানের প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্টের উগ্রপন্থী সদস্যরা সমর্থন জানিয়েছেন।

তবে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ভোটাভুটির নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ এবং অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর অনুমতির প্রয়োজন নেই।

১৯৯০–এর দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে অসলো চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।