ঘুষ ও সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার কাতারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আলি শরিফ আল-এমাদি ফৌজদারি আইনে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। রোববার কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কিউএনএর খবরে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে ২০২১ সালের মে মাসে আলি শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। কিউএনএর খবরেও এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়নি।
কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল ফৌজদারি আদালতে আলি শরিফের বিচার করার আদেশ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ঘুষ নেওয়া, জনসাধারণের অর্থ আত্মসাৎ করা। এ ছাড়া ক্ষমতা অপব্যবহার, সরকারি অর্থ তছরুপ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে আলি শরিফের বিরুদ্ধে। তবে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি, সরকারি তহবিল থেকে আলি শরিফ কী পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন।
আলি শরিফ আল এমাদি কাতারের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০১৩ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটির অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি কাতার ন্যাশনাল ব্যাংকেও কাজ করেছেন। তিনি কাতারের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের ৩০ কোটি ডলারের সার্বভৌম তহবিলের পর্ষদ সদস্য।
অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা, ২০১৪-১৫ সালে জ্বালানি তেলের রেকর্ড দরপতনের সময় কার্যকর নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে কাতারের জ্বালানিনির্ভর অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন আল এমাদি। ২০২০ সালে তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের সেরা মন্ত্রী হিসেবে পুরস্কৃত হন। তবে সরকারি খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নথি ও প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার পরই অর্থমন্ত্রী এমাদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।