ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানি পাঠানো হয়েছে। এসব জ্বালানি গাজার হাসপাতালগুলোয় ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পেরিয়ে মিসর থেকে গাজায় ছয় ট্রাক জ্বালানি প্রবেশ করেছে। এসব ট্রাকে প্রায় ১৮ হাজার গ্যালন জ্বালানি রয়েছে। এই জ্বালানি গাজার হাসপাতালগুলোর জেনারেটর সচল রাখতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটি গাজায় জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রবেশের সুযোগ দেবে। তবে শর্ত হলো, এই জ্বালানি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) মানবিক কাজ পরিচালনায় ব্যবহার করা যাবে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) জানায়, গাজায় তীব্র মানবিক সংকট সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সংঘাত কমছে না, এর মধ্যে জ্বালানিসংকট তীব্র হয়েছে। যা ত্রাণ আসছে, সেটাও প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। সব মিলিয়ে তাঁদের কর্মীরা মানবিক কর্মকাণ্ড চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সতর্ক করে জানায়, জ্বালানিসংকটের কারণে গাজায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ হতে বসেছে।
বিশ্বের জনবহুল এলাকাগুলোর একটি গাজা। ১৪০ বর্গমাইলের এ ভূখণ্ডে বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ মানুষ। তাঁদের অর্ধেকই চরম খাদ্যসংকটে ভোগেন। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবন কাটাতে হয় তাঁদের।
জ্বালানি, সুপেয় পানি ও কিছু ক্ষেত্রে খাবারের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হয় গাজাবাসীকে। ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্ধারিত করিডর হয়ে গাজায় খাবার-পানি ও ত্রাণ ঢোকে। তবে এত দিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল।