গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির আলোচনায় গতি পেয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ইসরায়েল ও হামাসকে। বিবদমান এই দুই পক্ষ বলেছে, প্রস্তাব বিবেচনা করে মধ্যস্থতাকারীদের নিজেদের অবস্থান জানাবে। মধ্যস্থতাকারীরা বলছে, তাঁরা আশাবাদী।
গাজায় যুদ্ধবিরতির তৎপরতা চালাচ্ছে মূলত কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে প্যারিসে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। গত রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বার্নস মিসর, কাতার ও ইসরায়েলি শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এর আগে গত নভেম্বরে তিন দফায় সাতদিনের যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছিল কাতার। গত রোববার প্যারিসের বৈঠক অংশ নিয়েছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ‘বড় অগ্রগতি’ হয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন করে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে জিম্মি নারী ও শিশুদের আগে মুক্তির বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশি করে ত্রাণ ঢুকবে গাজায়। আর প্রাথমিক এ চুক্তির মাধ্যমেগাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি কীভাবে কার্যকর করা যায় সে বিষয় আছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইতিমধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ফল পাওয়ার মতো কিছু কাজ হয়েছে। নতুন করে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সত্যিকারের আশাবাদী হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে গঠমূলক আলোচনা হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে ঘাটতি আছে। যেসব নিয়ে মধ্যস্থকারীরা আলোচনা করবে।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেয়েছে জানিয়ে আজ মঙ্গলবার হামাস বলেছে, প্রস্তাবটি বিবেচনা করে তারা নিজেদের অবস্থান জানাবে।