গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় সেখানে এক অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকেরা রোগীদের মধ্যে পানি অল্প অল্প করে ভাগ করে দিচ্ছেন। একেকজন রোগী দিনে মাত্র ৩০০ মিলিলিটার পানি পাচ্ছেন।
আর রাস্তাঘাটে মানুষ পানি ও রুটির জন্য হাহাকার করছেন। খান ইউনিস শহর থেকে বিবিসির সাংবাদিক রুশদি আবু আলুফ জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ৯০ শতাংশ বাড়িতে পানি নেই।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ও জ্বালানির সংকট তৈরি হওয়ায় এই অঞ্চলের হাসপাতালগুলো ‘কার্যত অচল হওয়ার পথে’।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালান হামাস যোদ্ধারা। এ সময় তাঁরা বিদেশি নাগরিকসহ বহু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান।
হামাসের হামলা শুরুর দিনই গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল। গাজায় খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সবকিছু মিলিয়ে বিধ্বস্ত এক এলাকায় পরিণত হয়েছে গাজা। বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন গাজার ২২ লাখ বাসিন্দা। কিন্তু ইসরায়েল সেনাবাহিনী সেখানে সৃষ্ট মানবিক সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। উল্টো বলছে, সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বহাল আছে।
ইসরায়েলের বোমার আঘাতে গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৫০০ জন। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ হাজার ২৫০ জন আহত হন।
হামাসের হামলা শুরুর দিনই গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল।